সংবাদ শিরোনাম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাড়ে ৭ টাকার ওষুধের দাম ৩৫০ টাকা চাওয়ায় জান্নাত ফার্মেসিকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা সরাইলে কৃষকের মাঝে বীজ, সার এবং নারিকেল চারা বিনামূল্যে বিতরণ বাবার মরদেহ গ্রহণে ছেলের অস্বীকৃতি।। দাফন করলো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর নবীনগরে পুকুর থেকে অজ্ঞাত শিশুর মরদেহ উদ্ধার কমলগঞ্জে ‘পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস’ নানা কর্মসূচিতে কমলগঞ্জে গুড নেইবারস এর পরিচ্ছন্নতা অভিযান ঢাকাস্থ চম্পকনগর ইউনিয়ন সমিতি গঠনের লক্ষ্যে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত কমলগঞ্জে ৬ দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের দুই ঘন্টা অবস্থান কর্মসূচি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিটিজেএ সভাপতিরসহ পরপর তিন টিভি সাংবাদিকের মোটরসাইকেল চুরি কমলগঞ্জে স্কাউটের ব কাব কার্নিভাল ২০২৫
আবারো হঠাৎ তিস্তায় পানি বৃদ্ধি, তিস্তা পাড়ে আতঙ্ক

আবারো হঠাৎ তিস্তায় পানি বৃদ্ধি, তিস্তা পাড়ে আতঙ্ক

শাহিনুর ইসলাম প্রান্ত, লালমনিরহাট প্রতিনিধি

লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টা থেকে তিস্তা নদীর পানি নতুন করে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে বাঁধ ও সড়কের ভাঙা অংশ দিয়ে তিস্তার পানি সতী নদী হয়ে শহরে প্রবেশ করছে।
শুক্রবার রাতে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। শনিবার সকালে পানির চাপে হাতীবান্ধাহাট থেকে বড়খাতা বিডিআর গেট বাইপাস সড়ক ভেঙে তিস্তা নদীর পানি হাতীবান্ধা শহরসহ লোকালয়ে প্রবেশ করে। এতে জেলার ৫ উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে। সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় হাতীবান্ধা উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন। শনিবার বিকেল থেকে তিস্তা নদীর পানি কমতে থাকে। সোমবার সকালে পানি বিপদসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। কিন্তু সোমবার দুপুর থেকে আবারও পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা পাড়ের লোকজনের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তা পয়েন্টে পানি বিপদ সীমার ছুঁই ছুঁই দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
ভারত গজল ডোবা ব্যারাজের অধিকাংশ গেট খুলে দেয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পানির শো শো শব্দে তিস্তা পাড়ে লোকজনের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তিস্তা নদীর ভয়ঙ্কর রুপ আর গর্জনে পানিবন্দী লোকজনের চোখে ঘুম নেই।
তিস্তা ব্যরাজ দোয়ানী পানি উন্নয়ন বোর্ড’র নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, ভারত গজল ডোবা ব্যারাজের অধিকাংশ গেট খুলে দেয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার দুপুর থেকে আবারও পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। আরও কি পরিমাণ পানি আসবে তা বলা যাচ্ছে না। পানির গতি নিয়ন্ত্রণ করতে তিস্তা ব্যারেজের অধিকাংশ গেটই খুলে দেয়া হয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, আমি বন্যা এলাকা সরেজমিন ঘুরে দেখছি। যেখানে যেভাবে প্রয়োজন সেই ভাবেই সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Somoynewsbd24.Com